আবহাওয়ার পূর্বাভাস হল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট স্থান এবং সময়ের জন্য বায়ুমণ্ডলের অবস্থার পূর্বাভাস প্রক্রিয়ার ফলাফল। মূলত আবহাওয়াবিদরা সমুদ্র এবং ভূমিতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন প্রক্রিয়াগুলিও অধ্যয়ন করেন, কারণ প্রকৃতির সবকিছুই পরস্পর সংযুক্ত।
advertisement
প্রত্যেকদিন খবরে শোনা যায়, ‘আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর আজ আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকবে বা আগামী দুই দিনে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ‘। তবে জানেন কীভাবে আবহাওয়া দফতর আবহাওয়া নির্ধারণ করে থাকেন! বীরভূমের বোলপুরে রয়েছে শ্রীনিকেতন আবহাওয়া দফতর। সেখান থেকেই উঠে এসেছে এই তথ্য। কীভাবে বোঝা যায় কবে, কখন, কত পরিমাণ বৃষ্টিপাত হবে আগামী কাল বা পরশু আবহাওয়া কেমন থাকবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পর দ্বিতীয় পুরানো আবহাওয়া দফতর বীরভূমের বোলপুরের শ্রীনিকেতন আবহাওয়া দফতর। প্রসঙ্গত সময়টা ছিল ১৯৩০ সাল। তখনও ব্রিটিশ শাসনে আমাদের ভারতবর্ষ। তখনই বীরভূমের বোলপুরের এই জায়গাতে স্থাপিত হয় প্রথম পর্যবেক্ষণাগার। তখন সেটি (PTO) অর্থাৎ পারটাইম পর্যবেক্ষণাগার হিসেবে গণ্য করা হত।
তবে কী সেই পারটাইম পর্যবেক্ষণাগার! তখন শুধুমাত্র এখান থেকে তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাপ করে পাঠিয়ে দেওয়া হত। তবে স্বাধীনতার পর মৌসম বিভাগের পক্ষ থেকে বোলপুরে একটি স্থায়ী পর্যবেক্ষণাগার তৈরির পরিকল্পনা চলতে থাকে। তবে সেটি বাস্তবায়িত হয় আনুমানিক ১৯৬০ সালে।
এরপরেই ভারত সরকার মৌসুম বিভাগের অনুরোধে এখানে একটি ফুলটাইম পর্যবেক্ষণাগার স্থাপন করেন। এরপরেই এখানে নিয়মিত আবহাওয়ার পর্যবেক্ষণ শুরু হয় এবং এই পর্যবেক্ষণের তথ্য নিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হত আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আঞ্চলিক ভবনে। এরপরে দিন যত এগিয়েছে ততই উন্নত হয়েছে এই দফতরের।
সৌভিক রায়
Weather: কবে, কখন, কোথায় ঝড়বৃষ্টি হবে? তাপমাত্রা কত থাকবে…কীভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করে হাওয়া অফিস? জেনে নিন আবহাওয়া দফতরের ‘সিক্রেট’